May 4, 2024, 11:31 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
কাছাকাছি কোনও পানির উৎস না থাকায় আগুন নেভাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস, রাতভর জ্বলবে সুন্দরবন নড়াইলে গাঁজাসহ চারজন গ্রেফতার আসলে এটা রেল লাইন নয় কুষ্টিয়ায় শ্রমজীবী মানুষের মাঝে শরবত, বিশুদ্ধ পানির বোতল ও খাবার স্যালাইন বিতরণ স্বরূপকাঠিতে স্বধীনতা বিরোধীদের মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার তৎপরতা বন্ধের দাবীতে মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন পাইকগাছা বাজারের তৃষ্ণার্ত মানুষের জন্য শীতল শরবত পানির ব্যবস্থা করলেন শুকুরুজ্জামান পাইকগাছা মৎস্য আড়ৎদারী সমবায় সমিতির ২৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত কেশবপুরে আগামী ৮মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপির লিফলেট বিতরণ মধুপুরে ছরোয়ার আলম খান আবু’র নির্বাচনী কর্মীসভা অনুষ্ঠিত কালীগঞ্জে পৃথক পৃথক অভিযানে ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার ৩
পাইকগাছায় লতা আমের রংঙ সফেদার মতন হওয়ায় বিক্রি হচ্ছে না;হতাস চাষীরা

পাইকগাছায় লতা আমের রংঙ সফেদার মতন হওয়ায় বিক্রি হচ্ছে না;হতাস চাষীরা

ইমদাদুল হক,পাইকগাছা,খুলনা।।
পাইকগাছায় লতা আম বাদামি ধুসর বর্ণের হয়ে গেছে। লতা আম গাছের সব আম বাদামি ধুসর বর্ণের সফেদার মতন। দেথলে মনে হয় আম গাছে সফেদা ধরেছে। আমের রং ধুসর হওয়ায় আম বিক্রি হচ্ছে না। বাজারে লতা আমের ক্রেতা নেই।
গদাইপুরের বোম্বাই লতা আম অর্থকরী ফসল হিসেবে জনপ্রিয়।তবে এবছর লতা আমে ধুসর বর্ণের হওয়ায আমের কোন ক্রেতা নেই। লতা আমের আর চাহিদা নেই বাজারে ও বিক্রি হচ্ছে না। লতা আমের বাগান মালিক ও ব্যবসাহীরা আম নিয়ে বিপাকে পড়েছে।গাছ থেকে আম পাড়ার খরচ উঠছে না। এর ফলে গাছে আম নষ্ট হচ্ছে।লতা আমের বাগান মালিক গদাইপুরের মোবারক ঢালী বলেন,গাছে সার ঔষধ প্রয়োগ করার পরও লতা আমে ধুসর রঙের হয়েছে। কেউ লতা আম কিনছে না।আম বিক্রি না হওয়ায় অনেক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আম বাদামি ধুসর বর্ণের হওয়া এটা আমের দাদ রোগ বা স্ক্যাব রোগ।আমের স্ক্যাব রোগ হলে কচি আমের গুটি আক্রান্ত হয় ঝড়ে যায় ।আক্রান্ত আমের খোসা বাদামি ধুসর বর্ণের হয়ে যায়, খোসা খসখসে ও কিছুটা ফাটাফাটা মনে হয় ছোট অবস্থায় আক্রান্ত হলে আম ঝরে পড়ে, বড় আমে আক্রমণ থাকলে পুরা আম ধুসর বর্ণে ঢেকে যায়।আমের রং ধুসর হওয়ায় বাজার দর কমে যায়।
পাইকগাছা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বোম্বাই লতার বাদামি ধুসর বর্ণের হওয়া এটা আমের দাদ রোগ বা স্ক্যাব রোগ। আম গুটি অবস্থায় থাকতে কার্বেন্ডাজিম বা ম্যানকোজেব ২ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে ১৫ দিন পরপর ৩-৪ বার স্প্রে করলে আমের ধুসর রং থাকবে না আর ফলও ভালো পাওয়া যায়। ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে রাখতে হবে।পরিস্কার করার পর একাট ছত্রাক নাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করতে হবে।
আম বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় এবং উপাদেয় ফল। তাই আমকে ফলের রাজা বলা হয়। বাংলাদেশের প্রায় সব জেলাতেই আম জন্মে। তবে উৎকৃষ্টমানের আম প্রধানত উত্তর পশ্চিমা লের জেলাগুলোতে যেমন-চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, রংপুর, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা,খুলনা, সাতক্ষীরা ও যশোর জেলাতে ভালো জন্মে। তবে গদাইপুর এলাকায় লতা আমের ব্যাপক পরিচিতি ছিলো।লতা আম এ অ লে একটি অর্থকরী ফসল হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল।তবে লতা আমের মান নষ্ট হওয়ায় এর চাহিদা ও বিক্রি হচ্ছে না।

ইমদাদুল হক,
পাইকগাছা,খুলনা।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD